Monday, December 15, 2025

ফুলবাড়ীয়ায় ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসনাত জনি গ্রেপ্তার

ফুলবাড়ীয়ায় ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসনাত জনি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত জনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


পুলিশ জানায়, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার একটি ইটভাটা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।


ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি হিসেবে আবুল হাসনাত জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা


জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (Boishommobirosdhi Chhatro Andolon) এবং ওয়ারিয়র্স অব জুলাই (Warriors of July) এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

আজ সোমবার ১৫ ই ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল সাড়ে ১১:৩০ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভার শুরুতে এসপি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছাত্রনেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হন এবং কুশল বিনিময় করেন।

তিনি নবাগত পুলিশ সুপার হিসেবে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। মতবিনিময় সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল, সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্র সমাজ ও পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা।

মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান এবং এর পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।

তিনি ছাত্র আন্দোলনকে একটি বৃহৎ সামাজিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এই পরিবর্তনের ধারাকে জেলার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, "জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

তিনি উল্লেখ করেন যে, ছাত্র সমাজ হচ্ছে যেকোনো সমাজের প্রাণশক্তি এবং তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা চুয়াডাঙ্গা জেলাকে শান্তিপূর্ণ রাখতে সহায়ক হবে।

তিনি প্রত্যাশা করেন, ছাত্রনেতৃবৃন্দ তাদের সহকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেকোনো ধরনের উস্কানি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রবণতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।

পুলিশ সুপার ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মিনহাজ-উল-ইসলাম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জামাল আল নাসের।

তাঁরাও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন নিরাপত্তা ও সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং জেলার সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ছাত্র সমাজের গঠনমূলক অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের অন্য কর্মকর্তাবৃন্দও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ওয়ারিয়র্স অব জুলাই এর নেতৃবৃন্দ নবাগত পুলিশ সুপারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাঁদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

ছাত্রনেতারা আশা প্রকাশ করেন যে, এই মতবিনিময় সভার মাধ্যমে পুলিশ ও ছাত্র সমাজের মধ্যে একটি আস্থার সম্পর্ক তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট সমাধানে সহায়ক হবে। তাঁরা জেলার শিক্ষাঙ্গন ও জনজীবনে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এই মতবিনিময় সভা চুয়াডাঙ্গা জেলায় পুলিশ প্রশাসন ও ছাত্র সমাজের মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরির ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা জেলার ভবিষ্যৎ শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরন ও ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরন ও ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা


 আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতে তারেক জিয়ার ঘোষিত ৩১ দফার সমর্থনে লিফলেট বিতরন ও ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।


সোমবার (১৪ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ বিনয় আলী ও ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নেছার আলী এর নেতৃত্বে নারানগাইয়া, তালুকদার পাড়া ও কলেজ এলাকায় ৩১ দফার সমর্থনে এ লিফলেট বিতরন ও ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা করা হয়।


বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত “রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি” প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এই প্রচারনায় উপস্থিত ছিলেন, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, যুগ্ন-সম্পাদক আবু তাহের, 

যুগ্ন-সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, মহল্লা কমিটির সভাপতি শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম। 


এসময় সংগঠনটি নেতাকর্মীরা ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ওয়াদুদ ভূইয়ার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে ধানের শীষ মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।

সাজেক–মারিশ্যা সড়কে বিজিবির চেকপোস্ট সীমান্তে ১৫ বিশেষ টহল, নিরাপত্তা জোরদার

সাজেক–মারিশ্যা সড়কে বিজিবির চেকপোস্ট সীমান্তে ১৫ বিশেষ টহল, নিরাপত্তা জোরদার



দেশের অভ্যন্তরে উদ্ভূত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে খাগড়াছড়ির দিঘিনালা–সাজেক ও দিঘিনালা–মারিশ্যা সড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় ১৫টি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।


বিজিবি সূত্র জানায়, বিজিবির মহাপরিচালকের দিকনির্দেশনায় বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন (৫৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মহিউদ্দিন ফারুকীর নির্দেশে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন সদর এলাকার ১ নম্বর জিপি গেটের সামনে দিঘিনালা–সাজেক সড়কে এবং ২ নম্বর জিপি গেটের সামনে দিঘিনালা–মারিশ্যা সড়কে পৃথক দুটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়।


চেকপোস্টগুলোতে যানবাহন, যাত্রী ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইসহ চলাচলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


এদিকে বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ১৫টি বিওপি, টিওবি ও ক্যাম্প থেকে একটি করে মোট ১৫টি বিশেষ টহল দল সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। এসব টহলের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের তল্লাশি ও টহল কার্যক্রম পরিস্থিতি বিবেচনায় অব্যাহত থাকবে।

দীঘিনালায় আস্থা গড়তে সামাজিক কার্যক্রমে সেনাবাহিনী

দীঘিনালায় আস্থা গড়তে সামাজিক কার্যক্রমে সেনাবাহিনী



পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম ও সংবেদনশীল পাহাড়ি এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা সংকট, যোগাযোগের দুর্বলতা ও সামাজিক আস্থাহীনতার চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এ বাস্তবতায় দীঘিনালার পাহাড়ি অঞ্চলে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্প্রীতি ও পারস্পরিক আস্থা সুদৃঢ় করতে ধারাবাহিক সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।


খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন দীঘিনালা সেনা জোনের উদ্যোগে এবং জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ওমর ফারুক পিএসসি-এর নির্দেশনায় ক্যাপ্টেন আবু রায়হানের নেতৃত্বে কবাখালী ইউনিয়নের ডানে কবাখালী, জোড়া ব্রিজ ও ব্যারাকছড়া এলাকার দুর্গম পাহাড়ি জনপদে নিয়মিত এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।


সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, পাহাড়ি অঞ্চলে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপপ্রচার ও ভয়ভীতির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে রাষ্ট্রীয় মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা দীর্ঘদিনের একটি বাস্তবতা। এসব অপচেষ্টা প্রতিহত করতে শুধু নিরাপত্তা তৎপরতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে স্থানীয় জনগণের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আস্থা অর্জনকে কৌশলগতভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এর অংশ হিসেবে সেনাসদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করছেন এবং সরাসরি তাদের সমস্যা ও প্রয়োজন সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন।


শীত মৌসুমে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে ওঠে। সে বাস্তবতায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকে মানবিক সহায়তার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে দেখছে সেনাবাহিনী।


একই সঙ্গে স্থানীয় যুবসমাজকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখতে খেলাধুলাকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভলিবল ও নেট বিতরণ এবং স্থানীয়দের সঙ্গে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ আয়োজনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব কমিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


এ ছাড়াও দীঘিনালা সেনা জোনের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সহায়তা, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দুস্থদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান এবং প্রত্যন্ত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।


এ বিষয়ে দীঘিনালা সেনা জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ওমর ফারুক, পিএসসি বলেন,

“পাহাড়ি এলাকায় টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা কার্যক্রমের পাশাপাশি জনগণের আস্থা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মৌলিক প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”


স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বাসিন্দারা জানান, দুর্গম এলাকায় সরকারি সেবা পাওয়া কঠিন হলেও সেনাবাহিনীর এসব উদ্যোগ তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিক্ষা সহায়তা ও চিকিৎসাসেবাকে তারা দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে কার্যকর ভূমিকা হিসেবে দেখছেন।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নবাগত কমিটি কর্তৃক অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছা

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নবাগত কমিটি কর্তৃক অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছা


 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার নবগঠিত কমিটি কলেজের অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

আজ সোমবার নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ শিফাতুল ইসলাম শীতল এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুম হাসান হৃদয় এর নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ফুলেল শুভেচছা জানান। 


এ সময় অধ্যক্ষ নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং কলেজে গঠনমূলক, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও শিক্ষাবান্ধব ছাত্র রাজনীতি করার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পরামর্শ দেন।


নবগঠিত কমিটির নেতারা জানান, তারা কলেজের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন। এতে ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী হতাহত

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী হতাহত



ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (রবিবার): সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে গতকাল (শনিবার) স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কতৃক ড্রোন হামলা পরিচালনা করা হয়। উক্ত হামলায় দায়িত্বরত ৬ (ছয়) জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন এবং ৮ (আট) জন শান্তিরক্ষী আহত হন। 
শহীদ শান্তিরক্ষীদের নাম:
১। কর্পোরাল মোঃ মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর)
২। সৈনিক মোঃ মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম)
৩। সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি)
৪। সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম)
৫। মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ)
৬। লন্ড্রি কর্মচারী মোঃ সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)
আহত শান্তিরক্ষীদের নাম:
১। লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া)
২। সার্জেন্ট মোঃ মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর)
৩। কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগনালস (ঢাকা)
৪। ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা)
৫। সৈনিক মোঃ মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম)
৬। সৈনিক মোসাঃ উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জিঃ (রংপুর)
৭। সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ)
৮। সৈনিক মোঃ মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)
আহত ০৮ (আট) জন শান্তিরক্ষীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সৈনিক মোঃ মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইতিমধ্যে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর আহত ০৭ (সাত) জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ইলেকট্রিক স্টান গান ও দেশীয় অস্ত্রসহ একজন আটক

চুয়াডাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ইলেকট্রিক স্টান গান ও দেশীয় অস্ত্রসহ একজন আটক


 

আজ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫চুয়াডাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ইলেকট্রিক স্টান গান ও দেশীয় অস্ত্রসহ একজন আটক ভোর ৫ টার সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরশহরের শেখপাড়ায় এক বিশেষ ও সফল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। এই অভিযানে মোঃ রিকন (৩৩) নামে এক ব্যক্তিকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।


আটক রিকনের কাছ থেকে একটি ইলেকট্রিক স্টান গানসহ (electric stun gun) বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।


জানা গেছে, এই সাঁড়াশি অভিযানটি চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্পের মেজর সালমান হকের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। ভোররাতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শেখপাড়ায় অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।


অভিযান চলাকালে শেখপাড়ার মৃত আ. সেলিমের ছেলে মোঃ রিকনকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।


আটকের সময় তার হেফাজত থেকে নিম্নলিখিত সরঞ্জাম ও অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়:


একটি (১টি) ইলেকট্রিক স্টান গান (Electric Stun Gun)

একটি (১টি) রামদা

একটি (১টি) তলোয়ার

একটি (১টি) চাকু (ছোরা)

একটি (১টি) ব্যাটন (লাঠি)

একটি (১টি) স্মার্ট মোবাইল ফোন।


উদ্ধারকৃত ইলেকট্রিক স্টান গান এবং দেশীয় অস্ত্রগুলো জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা।


ঘটনার বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আটক মোঃ রিকনকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সরঞ্জাম রাখার দায়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই ধরনের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কঠোর বার্তা দিতে চাইছে।


মেজর সালমান হক সাংবাদিকদের জানান, "শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার রোধ করতে সেনাবাহিনী সবসময়ই স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে কাজ করে চলেছে। 

এই অভিযানটি তারই একটি অংশ। আমরা আশা করি সমাজের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"


আটকের পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয় জনগণ যৌথ বাহিনীর এমন সময়োপযোগী ও সফল অভিযানের প্রশংসা করেছেন। এলাকায় যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

Sunday, December 14, 2025

স্বামী হত্যার অভিযোগে গ স্ত্রী ও তার প্রেমিক গ্রেফতার

স্বামী হত্যার অভিযোগে গ স্ত্রী ও তার প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার চাটমোহর উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনার ১০ দিন পর জানাজানি হলে অভিযুক্ত স্ত্রী শারমিন খাতুন ও তার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।

বিষয়টি শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানায়৷ পরে তাদের আটক করা হয়। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বরদানগর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত স্বামী শের আলী (৩৫) বরদানগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ছেলে। 

আর অভিযুক্ত শের আলীর স্ত্রী শারমিন খাতুন (২৬) কাটেঙ্গা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে এবং তার প্রেমিক অনিক (২২) একইগ্রামের মহাজন সরকারের ছেলে। 

স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর কাটেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শের আলীর মৃত্যু হয়। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে বিষয়টি শুরুতে মেনে নিলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

জানা যায়, শের আলীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ইউটিউবারদের মাধ্যমে চিকিৎসা সহায়তার অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের একটি বড় অংশ শারমিন মাঝেমধ্যেই তার প্রেমিক অনিক (২২) কে দিতেন।

মৃত শের আলীর ফুপাতো ভাই এনামুল হোমেনের দাবি, শারমিন ও অনিকের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হওয়া কথোপকথন ঘেঁটে টাকা লেনদেনের একাধিক তথ্য পাওয়া যায়। ওই চ্যাটিং থেকেই প্রথম নিশ্চিত হওয়া যায় যে, চিকিৎসার জন্য উত্তোলিত অর্থ নিয়মিতভাবে অন্যত্র চলে যাচ্ছিল।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে পরিবারের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করেন। শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকেই অনিককে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে মেসেজ পাঠানো হয়। অনিক সেই মেসেজের জবাব দিয়ে টাকা নিতে যান।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই সতর্ক থাকা স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য ও পরস্পরবিরোধী তথ্য দিলে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।

পরে আটক অনিক ও শারমিন স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, প্রায় চার মাস ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। অনিক দাবি করেন, তিনি প্রথমে শারমিনের ননদ নদীর সাথে সম্পর্কের সূত্রে ওই বাড়িতে যাতায়াত করেন। একপর্যায়ে অনিক ও শারমিন পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একাধিকবার সাক্ষাৎ ও শারীরিক সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেন তারা।

আটক শারমিন এলাকাবাসীর সামনে স্বীকার করে জানান, গত ৩০ নভেম্বর একসঙ্গে দশটি ঘুমের ওষুধ তার স্বামী শের আলীকে খাইয়েছিলেন। পরে শের আলীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। সবাই তার মৃত্যু ক্যান্সারে হয়েছে মনে করে দাফন সম্পন্ন করেন।


শের আলীর মা শিরীনা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমার অসুস্থ ছেলেকে ওর বউ ঘুমের ওষুধ খাইয়েছে। সে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”

খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক না করে অভিযোগ না থাকার কথা বলে স্থানীয়ভাবে সালিশের সুযোগ দিয়ে ফিরে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে গ্রাম্য নেতাদের উপস্থিতিতে সালিশ বসানোর প্রস্তুতির সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর শারমিন ও অনিককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরওয়ার হোসেন বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি বা মামলা করেনি। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
 

দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জুলাই সম্মুখ-যোদ্ধাদের নিরাপত্তা জরুরি — অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন

দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জুলাই সম্মুখ-যোদ্ধাদের নিরাপত্তা জরুরি — অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন


মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ হাসান সোহান. নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি. 

আজ ১৩ ডিসেম্বর, শনিবার, দুপুর ২টায় শিবপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শিবপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শাখা সভাপতি মাওলানা হারুনুর রশিদ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাফেজ মাওলানা আরিফুল ইসলাম মোল্লা 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন—

দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী, এজেন্ট, দায়িত্বশীল নেতাকর্মী এবং জুলাই সম্মুখ-যোদ্ধাদের ওপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বাধা দেওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।


প্রধান বক্তা জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন—

“অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রধান পূর্বশর্ত হলো নির্বাচনী মাঠে সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জুলাই সম্মুখ-যোদ্ধাদের ওপর হামলা বা ভয় দেখিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা যাবে না। রাষ্ট্রকে অবশ্যই নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”


প্রধান আকর্ষণ — নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের হাতপাখার এমপি প্রার্থী মাওলানা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া বলেন—

শিবপুর আজ অবহেলিত ও বঞ্চিত জনপদে পরিণত হয়েছে। কৃষক ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত, যুবসমাজ বেকারত্বে জর্জরিত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ভাঙা রাস্তাঘাট ও দুর্বল অবকাঠামো সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে দিয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু নেতৃত্ব। জনগণের রায়ে নির্বাচিত হলে ইনশাআল্লাহ শিবপুরকে দুর্নীতি, বৈষম্য ও অবহেলা মুক্ত করে উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক জনপদে রূপান্তর করা হবে।


কর্মী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার সেক্রেটারি আনোয়ার পারভেজ খান, আট দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর কাউছার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী রাকিবুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শিবপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি জনাব নঈম উদ্দিন সরকার, মাওলানা নাসির উদ্দিন সরকার, শ্রমিক নেতা আসাদুজ্জামান, যুবনেতা আফজাল হোসেন, ছাত্রনেতা সোহাগ সিকদারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

Thursday, December 11, 2025

সচিবালয় থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলো ৪ জনকে

সচিবালয় থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলো ৪ জনকে

২০ শতাংশ ‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলন করা সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্তত চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার দিকে তাদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।

হেফাজতে নেওয়া কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন—জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল কবীর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহ-সভাপতি শাহিন গোলাম রাব্বানী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিজামুদ্দিন এবং অজ্ঞাত আরেকজন।

এরআগে, গতকাল একই দাবিতে প্রায় ৬ ঘণ্টা অর্থ উপদেষ্টাকে আটকে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশি কড়া পাহারায় তিনি রাত আটটার দিকে বের হন। তখন আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণে আগামী সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি হবে–এমন বার্তা পাঠানো হয়।

আন্দোলনকারীরা সেটি মানেননি। পরে আজ বিকেল ৩টায় দাবি মেনে জিও (সরকারি আদেশ) জারি করা হবে মর্মে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সেটি কার্যকরের লক্ষ্যে আজও আন্দোলন করে আসছিল কর্মকর্তারা। 

বিকালে আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে তুলে নেয় পুলিশ। এ ঘটনা কেন্দ্র করে সচিবালয়ে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।